ভালো ঘুমের জন্য করণীয়।

Share This Post

ঘুম আমাদের দৈনন্দিন জীবন যাপনের এক গুরুত্বপূর্ণ অনুসঙ্গ। পর্যাপ্ত বিশ্রাম নিতে, যাবতীয় শারীরবৃত্তীয় কার্যাবলী সুচারুরূপে সম্পন্ন করতে এবং মন ও শরীরকে রিফ্রেশ করতে, পুনরুজ্জীবিত করে সজীব ও সতেজ করে চিন্তাশক্তি, জ্ঞান ও ধীশক্তি বৃদ্ধি করতে ঘুমের কোন বিকল্প নেই। আর সেই ঘুমটি হওয়া চাই উপযুক্ত সময়ে অর্থাৎ রাত ৯ টা কিংবা সাড়ে ৯ টা থেকে ভোর ৫ টা সাড়ে ৫ টা পর্যন্ত।

ভালো ঘুমের জন্য নিম্নোক্ত উপদেশ মেনে চলতে পারলে ভালো হয় —

১) অধিক রাত জাগা পরিহার করতে হবে ;

২) রাত ৯ – ৯ঃ৩০ মি. এর মধ্যে বিছানায় শুয়ে পড়বেন;

৩) সন্ধ্যা ৭-৭ঃ৩০ মি. এর মধ্যে রাতের খাবার গ্রহণ করবেন ;

৪) বিকাল ৪ঃ০০ টার পর চা, কফি ইত্যাদি আর খাবেন না;

৫) রাত ৮ঃ০০ টার পর মোবাইল, ল্যাপটপ, কম্পিউটার, টিভি দেখা এবং গল্প করা যাবে না ;

৬) রাত ১০ঃ০০ টা থেকে ভোর ৫ঃ০০ টা পর্যন্ত নিরবচ্ছিন্ন ঘুমাতে হবে ;

৭) ভোরে উঠে প্রাতঃক্রিয়াদি শেষে নামাজ কোরআন পড়ে ১ ঘন্টা শারীরিক ব্যায়াম করতে হবে ;

৮) দিনের বেলা কখনও ঘুমানো যাবে না ;

৯) পরিমিত বিশুদ্ধ ও সুষম খাবার গ্রহণ করুন ;

১০) বাজে তেল ও অধিক শর্করা জাতীয় খাবার বর্জন করুন;

১১)ধূমপান ও অন্যান্য বদঅভ্যেস পরিহার করুন ;

১২) হাসি খুশি ও উৎফুল্ল জীবন যাপন করুন ;

১৩) মানসিক উদ্বেগ অস্থিরতা ও দুশ্চিন্তা পরিহার করুন ;

১৪) সৃজনশীল কাজে নিজেকে নিয়োজিত রাখুন (বই পড়া, বই লেখা, গান করা, গান শোনা, বাগান করা, লেখালেখি করা ইত্যাদি) ;

১৫) পাঁচ ওয়াক্ত নামাজ আজানের সাথে সাথে আদায় করার অভ্যাস তৈরি করুন (যার যার ধর্ম অনুযায়ী নিয়মিত উপাসনা করার অভ্যাস তৈরি করা)।

ডাঃ এম সাঈদুল হক

সহকারী অধ্যাপক, লিভার বিভাগ,

ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল।

চীফ কনসালট্যান্ট, ঢাকা গ্যাস্ট্রো-লিভার সেন্টার।

০১৭০৩-৭২৮৬০১, ০১৭১০-০৩২১৫৮

০১৯২৭-০৬৮১৩৬, ০১৮৬৫-৫০৪০২৬

Subscribe To Our Newsletter

Get updates and learn from the best

More To Explore

আলসারেটিভ কোলাইটিস, কোলোরেকটাল ক্যান্সার, কোলোরেকটাল ক্যান্সার, কোলন ক্যান্সার
লিভার

আলসারেটিভ কোলাইটিস থেকে মরণব্যাধি কোলন ক্যান্সার

আলসারেটিভ কোলাইটিস থেকে হতে পারে মরণব্যাধি কোলন ক্যান্সার আলসারেটিভ কোলাইটিস যথাযথভাবে চিকিৎসা করা না হলে কোলোরেকটাল ক্যান্সার হয়ে প্রতি ৬ জনের একজন মৃত্যুবরণ করতে পারে।

হায়াটাস হার্নিয়া কি কঠিন কোন রোগ?
অন্যান্য

হায়াটাস হার্নিয়া কি কঠিন কোন রোগ?

হায়াটাস হার্নিয়া হলো যখন ডায়াফ্রাম বা মধ্যচ্ছদা’র মাংসপেশীর দুর্বলতার কারণে পাকস্থলীর অংশবিশেষ বুকের দিকে উঠে আসে। ফলশ্রুতিতে এসিড রিফ্লাক্স হয়ে বুক জ্বালাপোড়ার সমস্যা দেখা দেয়।