FNAC বা Fine Needle Aspiration Cytology

Share This Post

এটা হলো এমন একটি পরীক্ষা যার মাধ্যমে শরীরের বিভিন্ন জায়গায় বিশেষ করে চামড়ার নিচে হাত দিয়ে অনুভব করা যায় এমন গুটি, টিউমার, সিস্ট, দলা বা চাকা থেকে সূক্ষ্ম সূঁচের সাহায্যে টিস্যু বা কোষমালা অ্যাসপিরেট বা শুষে নিয়ে এসে কাঁচের স্লাইডে স্মিয়ার তৈরি করে পরবর্তীতে মাইক্রোস্কপি করে সেই কোষের চারিত্রিক গঠন প্রকৃতি থেকে সঠিক রোগ নির্ণয় করা হয়।

যেসব রোগ সাধারণত ধরা পড়েঃ
১) যক্ষ্মা
২) অ্যাবসেস
৩) লিম্ফোমা
৪) রিয়েকটিভ বা নন-স্পেসিফিক লিম্ফাডিনাইটিস
৫) ক্যান্সার
৬) সিস্ট
৭) অক্ষতিকর টিউমার
৮) টক্সোপ্লাজমোসিস
৯) সারকয়ডোসিস
১০) বিনাইন সাইটোলজিকাল চেইঞ্জেস।

এটি একটি গ্রহণযোগ্য এবং ব্যাপকভাবে চর্চাকৃত Minimally invasive পরীক্ষা যা নিরাপদ, সহজ, দ্রুত এবং তুলনামূলক ভাবে কম ব্যথাদায়ক। সুলভ মূল্যের এই পরীক্ষাটি সঠিক ও গুরুত্বপূর্ণ রোগ নির্ণয়ে অত্যম্ত সহায়ক।

তিন ভাবে এই পরীক্ষাটি করা যায়ঃ
১) সরাসরি টিউমার থেকে,
২) USG-guided FNAC
৩) CT-guided FNAC

যখন রোগটি শরীরের ভেতরে গভীর কোন অঙ্গে লুক্কায়িত থাকে যেমন লিভার, ফুসফুস, মেসেন্টারি, কিডনি, প্লীহা ইত্যাদি তখন আলট্রাসনোগ্রাফি কিংবা সিটি স্ক্যানের সাহায্য নিয়ে টিউমারের অবস্থান দেখে FNAC করা হয়।

এতে প্রয়োজনীয় যে জিনিসগুলো লাগেঃ
১০ সিসি কিংবা ২০ সিসি সিরিঞ্জ
২৩ জি স্পাইনোকেইন নিডল
গ্লাস স্লাইড
কপলিন জার
অ্যালকোহল
অ্যালকোহল প্যাড
ব্যান্ডেজ

চারটি ধাপে এই পরীক্ষাটি করা হয়ঃ
১) পালপেশন –
টিউমারটিকে হাতে অনুভব করে কিংবা আলট্রাসাউন্ড বা সিটি স্ক্যান দিয়ে লোকেট করা হয়।

২) অ্যাসপিরেশন –
২৩ জি মাপের সূক্ষ্ম সূঁচ লোকেশন করা টিউমারে স্থাপন করে সেখান থেকে নেগেটিভ প্রেশারে সাকশনের মাধ্যমে কোষমালা শুষে নিয়ে আসা।

৩) Smear preparation –
সিরিঞ্জে অ্যাসপিরেশনকৃত কোষমালা গ্লাস স্লাইডে দিয়ে বিশেষ পদ্ধতিতে স্লাইডের ওপর স্লাইড আলতোভাবে ঘষে স্মিয়ার তৈরি করা হয় এবং কপলিন জারে রাখা অ্যালকোহল দ্রবণে স্লাইডগুলো চুবিয়ে রাখা হয়।

৪) মাইক্রোসকপি –
স্লাইডে তৈরি করা স্মিয়ার মাইক্রোসকপ যন্ত্রের মাধ্যমে পর্যবেক্ষণ করে সঠিক রোগ নির্ণয় করা হয়।

পুরো FNAC পরীক্ষাটি করতে ১-২ মিনিট সময় লাগে এবং যাবতীয় প্রক্রিয়া সম্পন্ন করে রিপোর্ট পেতে ২৪ থেকে ৭২ ঘন্টা পর্যন্ত সময় লাগতে পারে।

ডাঃ এম সাঈদুল হক
সহকারী অধ্যাপক, লিভার বিভাগ,
ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল।
চীফ কনসালট্যান্ট, ঢাকা গ্যাস্ট্রো-লিভার সেন্টার।
০১৭০৩-৭২৮৬০১, ০১৭১০-০৩২১৫৮
০১৯২৭-০৬৮১৩৬, ০১৮৬৫-৫০৪০২৬

Subscribe To Our Newsletter

Get updates and learn from the best

More To Explore

আলসারেটিভ কোলাইটিস, কোলোরেকটাল ক্যান্সার, কোলোরেকটাল ক্যান্সার, কোলন ক্যান্সার
লিভার

আলসারেটিভ কোলাইটিস থেকে মরণব্যাধি কোলন ক্যান্সার

আলসারেটিভ কোলাইটিস থেকে হতে পারে মরণব্যাধি কোলন ক্যান্সার আলসারেটিভ কোলাইটিস যথাযথভাবে চিকিৎসা করা না হলে কোলোরেকটাল ক্যান্সার হয়ে প্রতি ৬ জনের একজন মৃত্যুবরণ করতে পারে।

হায়াটাস হার্নিয়া কি কঠিন কোন রোগ?
অন্যান্য

হায়াটাস হার্নিয়া কি কঠিন কোন রোগ?

হায়াটাস হার্নিয়া হলো যখন ডায়াফ্রাম বা মধ্যচ্ছদা’র মাংসপেশীর দুর্বলতার কারণে পাকস্থলীর অংশবিশেষ বুকের দিকে উঠে আসে। ফলশ্রুতিতে এসিড রিফ্লাক্স হয়ে বুক জ্বালাপোড়ার সমস্যা দেখা দেয়।