GERD বা বুক জ্বালাপোড়াঃ

Share This Post

এটা এমন একটি রোগ যেখানে পাকস্থলী হতে আংশিক পরিপাককৃত খাবার, এসিড ও পিত্তরস উপরের দিকে খাদ্য নালীতে উঠে আসে এবং অস্বস্তিকর অবস্থা তৈরি করে ।

GERD রোগের লক্ষ্মণঃ

বুক জ্বালাপোড়া করা,

বুক ব্যথা করা,

ঢোক গিলতে সমস্যা দেখা দেওয়া,

খাবার উপরের দিকে উঠে আসা,

মুখে টক কিংবা তিক্ত স্বাদ অনুভূত হওয়া,

বমি বমি ভাব ও উগরানো,

শুকনো কাশি দেখা দেওয়া,

কখনও কখনও নিউমোনিয়া হওয়া,

কন্ঠস্বর কর্কশ হয়ে যাওয়া,

মুখে দুর্গন্ধ,

গলায় কি যেন আটকে আছে অনুভূত হওয়া।

যারা এই রোগে আক্রান্ত হয়ে থাকেনঃ

অতিরিক্ত ওজনধারী ও স্থুলকায় ব্যক্তি,

গর্ভবতী মা,

ধূমপায়ী ও মদ্যপানে আসক্ত ব্যক্তি,

সুনির্দিষ্ট কিছু ওষুধ সেবনকারী (অ্যাসপিরিন, ব্যথানাশক ওষুধ ইত্যাদি)

বাংলাদেশে প্রায় ২০% মানুষ GERD রোগে ভুগছেন। এর মাঝে প্রায় ৫৭% রোগীর ক্ষেত্রে রাত্রিকালীন লক্ষ্মণগুলো বেশি দেখা দেয়।

GERD বা বুক জ্বালা-পোড়ার সমস্যা

GERD নিয়ন্ত্রণে করণীয়ঃ

১) রাতে শোওয়ার অন্তত ৩ ঘন্টা পূর্বে খাবার সম্পন্ন করা,

২) অল্প অল্প করে কিছুক্ষণ পরপর খাবার গ্রহণ করা,

৩) এক বসাতে ভরপেট খাবার গ্রহণ বা ভুরিভোজ পরিহার করা,

৪) শরীরের বাড়তি ওজন কমিয়ে নির্দিষ্ট ওজন বজায় রাখা,

৫) বাজে তেল ও অধিক মশলাযুক্ত খাবার পরিহার করা,

৬) ধূমপান, মদ্যপান ও মাদক থেকে বিরত থাকা,

৭) চা, কফি ও কোমল পানীয় পরিহার করা,

৮) আঁটোসাটো বা অতিরিক্ত টাইট ফিটিং জামা কাপড় পরিধান থেকে বিরত থাকা,

৯) বাজে তেলে তৈরি ভাজাপোড়া ও ফাস্ট ফুড পরিহার করা,

১০) খাবার গ্রহণের পরপরই শুয়ে পড়া থেকে বিরত থাকা,

১১) অনিদ্রা, অধিক রাত জাগা পরিহার করা,

১২) মানসিক উদ্বেগ অস্থিরতা ও দুশ্চিন্তা পরিহার করা,

১৩) বিছানার মাথার দিকের অংশ উঁচু করে রাখা কিংবা একটি বালিশের বদলে দুটি বালিশ ব্যবহার করা,

১৪) চিকিৎসকের পরামর্শ অনুযায়ী কিছু ওষুধ সেবন।

ডাঃ এম সাঈদুল হক

সহকারী অধ্যাপক, লিভার বিভাগ,

ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল।

চীফ কনসালট্যান্ট,

ঢাকা গ্যাস্ট্রো-লিভার সেন্টার।

০১৭০৩-৭২৮৬০১, ০১৭১০-০৩২১৫৮

০১৯২৭-০৬৮১৩৬, ০১৮৬৫-৫০৪০২৬

Subscribe To Our Newsletter

Get updates and learn from the best

More To Explore

আলসারেটিভ কোলাইটিস, কোলোরেকটাল ক্যান্সার, কোলোরেকটাল ক্যান্সার, কোলন ক্যান্সার
লিভার

আলসারেটিভ কোলাইটিস থেকে মরণব্যাধি কোলন ক্যান্সার

আলসারেটিভ কোলাইটিস থেকে হতে পারে মরণব্যাধি কোলন ক্যান্সার আলসারেটিভ কোলাইটিস যথাযথভাবে চিকিৎসা করা না হলে কোলোরেকটাল ক্যান্সার হয়ে প্রতি ৬ জনের একজন মৃত্যুবরণ করতে পারে।

হায়াটাস হার্নিয়া কি কঠিন কোন রোগ?
অন্যান্য

হায়াটাস হার্নিয়া কি কঠিন কোন রোগ?

হায়াটাস হার্নিয়া হলো যখন ডায়াফ্রাম বা মধ্যচ্ছদা’র মাংসপেশীর দুর্বলতার কারণে পাকস্থলীর অংশবিশেষ বুকের দিকে উঠে আসে। ফলশ্রুতিতে এসিড রিফ্লাক্স হয়ে বুক জ্বালাপোড়ার সমস্যা দেখা দেয়।