ফ্যাটি লিভার হলো লিভারে যখন ৫ শতাংশেরও বেশি চর্বি প্রধানত ট্রাইগ্লিসারাইড জমে যায় তখন তার আকার আকৃতি বৃদ্ধি পায় এবং একই সাথে লিভারের কার্যক্ষমতাও নষ্ট হয়।
পরবর্তীতে জটিলতা জনিত লিভার সিরোসিস কিংবা লিভার ক্যান্সারের আবির্ভাব ঘটে এবং প্রাণ সংহারের কারণ হয়ে দাঁড়ায়।
তাই ফ্যাটি লিভার নিয়ন্ত্রণে দেহের বাড়তি ওজন কমিয়ে একটি নির্দিষ্ট ওজন ধরে রাখতে প্রত্যহ নিয়মিত শারীরিক ব্যায়াম ও সপ্তাহে দুই দিন রোজা রাখার অভ্যাস গড়ে তোলার সাথে সাথে একটি নির্দিষ্ট সময়ের জন্য (৬ মাস – ১ বছর) কিছু খাবারের নিয়ন্ত্রণ জরুরি।
পবিত্র মাহে রমজানে নিম্নোক্ত খাবারগুলো পরিহার করে আত্মার শুদ্ধির পাশাপাশি আমরা শারীরিক পরিশুদ্ধি তথা ফ্যাটি লিভার ও ডায়াবেটিস হতে নিরাময় লাভ করতে পারিঃ
১) অধিক শর্করাযুক্ত খাবার (যা পরবর্তীতে চর্বি বা ফ্যাট হিসেবে শরীরে জমা হয়) —
ভাত, রুটি, পাউরুটি, আলু, মূলা,
চিনি, মিষ্টি, গুড়
মিষ্টি জাতীয় খাবার (মিষ্টি দই, রসমালাই, ফিরনি, পায়েস, লাচ্ছা সেমাই ইত্যাদি)
মিষ্টি জাতীয় ফল
এনার্জি ড্রিংকস
সফট ড্রিংকস
আর্টিফিসিয়াল জুস
কার্বোনেটেড বেভারেজ
মিষ্টি চকলেট, বিস্কুট, কেক, পেস্ট্রি
চিড়া, মুড়ি ইত্যাদি।
২) বাজে তেল ও তেলসমৃদ্ধ খাবার (যা আমাদের রক্ত নালীতে জমে ব্লক তৈরি করে যেমন আমাদের ব্রেইনে স্ট্রোক, হার্টে অ্যাটাক এবং লিভারে চর্বি জমিয়ে ফ্যাটি লিভার ঘটায়) —
সয়াবিন, সানফ্লাওয়ার, রাইসব্র্যান, ক্যানোলা তেল ও উচ্চ তাপমাত্রায় পরিশোধিত তেল
গরু, খাসির মাংসের চর্বি ও ভুঁড়ি
মগজ, কলিজা
হাঁসের মাংস
ননীযুক্ত দুধ
ফিরনি, সেমাই, পুডিং,
৩) ফাস্ট ফুড ও প্রসেসড খাবার —
ডুবো তেলে ডীপ ফ্রাই করা খাবার (সিঙ্গারা, সমুচা, পিঁয়াজু, বেগুনি, আলুর চপ, মোগলাই পরোটা, চিকেন ফ্রাই, ফ্রেন্চ ফ্রাই)
খিচুড়ি, বিরিয়ানি, পোলাও, কাচ্চি, রেজালা
বার্গার, হটডগ, শর্মা, পাস্তা ইত্যাদি।
সহকারী অধ্যাপক, লিভার বিভাগ, ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল।
চীফ কনসালট্যান্ট, ঢাকা গ্যাস্ট্রো-লিভার সেন্টার।
০১৭০৩-৭২৮৬০১, ০১৭১০-০৩২১৫৮
০১৯২৭-০৬৮১৩৬, ০১৮৬৫-৫০৪০২৬