এন্ডোসকপি একটি অত্যাধুনিক এবং সরাসরি দেখে রোগ নির্ণয়ের পরীক্ষা যা দ্বারা গলা, খাদ্যনালী, পাকস্থলী ও ডিওডেনামের দ্বিতীয় অংশ পর্যন্ত পর্যবেক্ষণ করা যায় এবং এখানে কোন ঘা বা আলসার, টিউমার বা ক্যান্সার, পলিপ, রক্তপাত, খাদ্যনালী পাকস্থলী বা ডিওডেনাম চেপে যাওয়া অথবা লিভার সিরোসিসের প্রতিক্রিয়ায় খাদ্যনালীর নীচের অংশের রক্তনালী ফুলে যেয়ে যে ভ্যারিক্স তৈরি করে তা দেখা যায়।
এই পরীক্ষার মাধ্যমে রোগ নিরূপণ ছাড়াও উল্লেখিত অংশসমূহের অনেক রোগের সফল ও কার্যকরী চিকিৎসা প্রদান সম্ভব।
এন্ডোসকপি কেন প্রয়োজন?
(১) খাদ্য গলাধঃকরণে অসুবিধা
(খাদ্যনালীর ক্যান্সার, পলিপ, স্ট্রিকচার, রিফ্লাক্স ইসোফ্যাজাইটিস, আলসার, অ্যাকালেশিয়া কার্ডিয়া, ডাইভার্টিকুলাম ইত্যাদি রোগ নিরূপণ)
(২) রক্তবমি হলে তার কারণ নির্ণয়সহ রক্তক্ষরণ বন্ধের তাৎক্ষণিক ব্যবস্থা নেয়া
(যেমন EVL, EST, APC ইত্যাদি)
(৩) পেটের উপরিভাগে ব্যথা, পেট ফেঁপে থাকা, খালি পেটে কিংবা খাওয়ার পরে বমি হওয়া
( পাকস্থলী ও ডিওডেনামের আলসার, ক্যান্সার, পাকস্থলীর বহিঃমুখ সরু হয়ে যাওয়া বা পুরোপুরি বন্ধ হয়ে যাওয়ার কারণসহ আরও অনেক রোগের কারণ নির্ণয় করা)
(৪) খাদ্যনালী থেকে অপ্রয়োজনীয় বাহ্যিক পদার্থের অপসারণ
(যেমন মাছের কাঁটা, মাংসের হাড়, মাংসপিণ্ড, মার্বেল, পয়সা, ব্যাটারি, বোতাম, নাকফুল, কানের দুল, কৃত্রিম দাংতের অংশবিশেষ, তারকাটা, পিন, হিজাবের পিন ইত্যাদি)
(৫) H. Pylori ইনফেকশন সনাক্ত করা,
(৬) আলসার টিউমার বা ক্যান্সার থেকে বায়োপসি নেয়া,
(৭) পলিপ অপসারণ,
(৮) রক্তপাত বন্ধে অ্যাড্রেনালিন ইনজেকশন দেয়া,
(৯) সংকুচিত খাদ্যনালীর প্রসারণসহ আরও অনেক চিকিৎসা এন্ডোসকোপের মাধ্যমে করা সম্ভব।
ডাঃ এম সাঈদুল হক
সহকারী অধ্যাপক, লিভার বিভাগ,
ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল।
চীফ কনসালট্যান্ট, ঢাকা গ্যাস্ট্রো-লিভার সেন্টার।
০১৭০৩-৭২৮৬০১, ০১৭১০-০৩২১৫৮
০১৯২৭-০৬৮১৩৬, ০১৮৬৫-৫০৪০২৬