পেটে গ্যাস বলতে আমরা বুঝি পাকস্থলী, ক্ষুদ্রান্ত্র কিংবা বৃহদান্ত্রে যখন অত্যধিক গ্যাস জমা হয়ে অস্বস্তিকর অবস্থা তৈরি করে।
এই গ্যাস জমা হওয়ার কারণ বহুবিধ –
খাবারের সাথে গৃহীত অতিরিক্ত গ্যাস,
বদহজম,
বাজে তেল ও অধিক শর্করায় তৈরি খাবার গ্রহণ,
দেরিতে ঘুমানো, অনিদ্রা ও অধিক রাত জাগা,
মানসিক চাপ – মানসিক উদ্বেগ অস্থিরতা ও দুশ্চিন্তা,
কায়িক পরিশ্রম বিমুখ হয়ে আয়েশী জীবন যাপনে অভ্যস্ত হওয়া,
অর্গানিক খাবার বাদ দিয়ে ফাস্ট ফুড, প্রসেসড ফুড, স্ট্রিট ফুড, সফট ড্রিংকস এনার্জি ড্রিংকস, হোটেল রেস্তোরাঁয় একই তেলে বারবার রান্না করা খাবার গ্রহণ,
ল্যাকটোজ ইনটলারেন্স, ফ্রুকটোজ ইনটলারেন্স, কেমিক্যাল হাইপারসেনসিটিভিটি, ফুড অ্যালার্জি;
ধূমপান মদ্যপান ও মাদকে আকীর্ণ হওয়া,
পলিফার্মাসি – বিভিন্ন রোগের কারণে একই সময়ে অনেকগুলো ওষুধ গ্রহণ ;
দীর্ঘ সময় ধরে শারীরিক ব্যায়াম বা কসরতের না করা ;
কোষ্ঠকাঠিন্য ;
কিছু রোগের কারণেও পেটে গ্যাস হতে পারে –
পেপটিক আলসার ডিজিজ (PUD),
গ্যাস্ট্রোইসোফেজিয়াল রিফ্লাক্স ডিজিজ (GERD),
ইরিটেবল বাওয়েল সিন্ড্রোম (IBS),
ডায়াবেটিস (DM)
প্যানক্রিয়েটাইটিস,
সিলিয়াক ডিজিজ,
IBD (আলসারেটিভ কোলাইটিস ও ক্রন’স ডিজিজ)
পেটে গ্যাসের চাপ হলে পরে বিভিন্ন রকম লক্ষ্মণ উপসর্গ দেখা দিতে পারে –
পেট ফুলে থাকা, ফেপে থাকা,
পেট ভরা ভরা লাগা,
অল্প খেলেই পেট ভরে যাওয়া,
ঢেকুর তোলা,
বুক জ্বালা পোড়া করা,
বুকে চাপ অনুভূত হওয়া ও শ্বাসকষ্ট দেখা দেওয়া,
অস্বস্তিতে ঘেমে যাওয়া,
মুখে টক বা তেঁতো স্বাদ অনুভূত হওয়া,
শুকনো কাশি ও নিউমোনিয়া দেখা দেওয়া,
কন্ঠস্বর কর্কশ হয়ে যাওয়া,
দন্ত ক্ষয় রোগ (Dental caries) দেখা দেওয়া,
পেটে ব্যথা করা, বুদবুদ শব্দ হওয়া কিংবা আওয়াজ করা;
পেট মোচড়ানো কামড়ানো ও মলত্যাগের অনুভূতি জাগা এবং মলত্যাগের পর কিছুটা স্বস্তি বোধ করা;
পেট ফুলে থাকা ফেপে থাকা ব্যথা করা, বেশ কয়েক দিন ধরে মলত্যাগ না হওয়া এবং কসরত করে গুটিগুটি মলত্যাগ করার পরে পায়ুপথ ব্যথা বা জ্বালা পোড়া করা;
পেট ফুলে বদহজম হয়ে ডায়েরিয়া কিংবা দুর্গন্ধযুক্ত মলত্যাগ হওয়া।
ডাঃ এম সাঈদুল হক
সহকারী অধ্যাপক, লিভার বিভাগ,
ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল।
চীফ কনসালট্যান্ট, ঢাকা গ্যাস্ট্রো-লিভার সেন্টার।
০১৭০৩-৭২৮৬০১, ০১৭১০-০৩২১৫৮
০১৯২৭-০৬৮১৩৬, ০১৮৬৫-৫০৪০২৬