মানব সভ্যতার ক্রমবিবর্তনের ধারায় অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধির ফলে মানুষের ক্রয়ক্ষমতা বৃদ্ধি পাওয়ায় একদিকে রুচিবোধের পরিবর্তন হওয়ায় খাদ্যাভ্যাসের পরিবর্তন হচ্ছে – মানুষ ফাস্ট ফুড, প্রসেসড ফুডে অভ্যস্ত হচ্ছে; অন্যদিকে কায়িক পরিশ্রম বিমুখ হয়ে আয়েশী জীবন যাপনে যাপনে মগ্ন হচ্ছে। ফলে দৈহিক ওজন বৃদ্ধি পেয়ে মানুষ স্থূলাকৃতি ধারণ করছে এবং নানা প্রকার জটিল রোগে আক্রান্ত হচ্ছে।
গবেষণায় দেখা গেছে দেহের মাত্রাতিরিক্ত ওজন বৃদ্ধির সাথে কিছু মারাত্মক ক্যান্সার উদ্ভবের সম্ভাবনা রয়েছে, যেমন –
লিভার ক্যান্সার
পাকস্থলীর ক্যান্সার
ইসোফেজিয়াল ক্যান্সার
থাইরয়েড ক্যান্সার
রেনাল ক্যান্সার
গলব্লাডার ক্যান্সার
রেকটাল ক্যান্সার
ম্যালিগন্যান্ট মেলানোমা
প্যানক্রিয়েটিক ক্যান্সার
লিউকেমিয়া
মাল্টিপল মায়েলোমা
নন-হজকিন লিম্ফোমা
প্রস্টেট ক্যান্সার
ব্রেস্ট ক্যান্সার
ওভারিয়ান ক্যান্সার
এন্ডোমেট্রিয়াল ক্যান্সার
কোলন ক্যান্সার
গ্লাইওব্লাস্টোমা ইত্যাদি।
দেহের মাত্রাতিরিক্ত ওজন বৃদ্ধি কিভাবে ক্যান্সার তৈরি করে?
দৈহিক ওজন বৃদ্ধি পেলেই যে ক্যান্সার হয়ে যাবে তা কিন্তু নয়, বরং দেহের ওজন বেড়ে যাওয়ার সাথে সাথে ক্যান্সার হওয়ার সম্ভাবনাও বহুলাংশে বেড়ে যায়, যেমন – দেহের ওজন বৃদ্ধি পেলে দীর্ঘ মেয়াদি প্রদাহ বেড়ে যায় এবং সেই সাথে ইনসুলিন, ইনসুলিন-লাইক গ্রোথ ফ্যাক্টর ও সেক্স হরমোনের মাত্রাও বেড়ে যায় ; ফলশ্রুতিতে ক্যান্সারের সম্ভাবনাও বৃদ্ধি পায়।
প্রত্যহ নিয়মিত শারীরিক ব্যায়াম করে, পর্যাপ্ত ঘুম ও বিশ্রাম নিয়ে, ধূমপান মদ্যপান ও মাদক থেকে বিরত থেকে, পরিমিত বিশুদ্ধ ও সুষম খাবার খেয়ে, বাজে তেল ও অধিক শর্করাযুক্ত খাবার পরিহার করে, হাসি খুশি ও উৎফুল্ল জীবন যাপন করতে পারলে এই ধরনের মারাত্মক ও জটিল ক্যান্সার থেকে মুক্ত থাকা সম্ভব।
ডাঃ এম সাঈদুল হক
সহকারী অধ্যাপক, লিভার বিভাগ,
ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল।
চীফ কনসালট্যান্ট, ঢাকা গ্যাস্ট্রো-লিভার সেন্টার।
০১৭০৩-৭২৮৬০১, ০১৭১০-০৩২১৫৮
০১৯২৭-০৬৮১৩৬, ০১৮৬৫-৫০৪০২৬
![](https://dhakagastrolivercenter.com/wp-content/uploads/2022/08/received_758014458531614.jpeg)