সুস্বাস্থ্য নিশ্চিত করতে লিভারকে আগে ভালো রাখা চাই

Share This Post

লিভার ভালো রাখার উপায়ঃ

★ রাস্তার পাশের স্ট্রিট ফুড বা খোলা জায়গায় বিক্রিত খাবার থেকে বিরত থাকা,

★ নাক-কান ফোড়ানো, শরীরে ট্যাটু বা উল্কি আঁকা, বহুব্যবহৃত সূঁচ, সিরিঞ্জ, সুতা বা সেলুনে ব্যবহৃত ব্লেড বা ক্ষুর ব্যবহারে অবশ্যই সতর্ক থাকতে হবে।

★ হেপাটাইটিস বি ভাইরাস প্রতিরোধী টিকা নিতে হবে।

★ নিরাপদ রক্ত পরিসঞ্চালনের প্রবর্তন করা,

★ প্রত্যহ নিয়মিত শারীরিক ব্যয়াম করা,

লিভার ভালো রাখতে করণীয় – By Dr Sayedul Haque

★ পরিমিত বিশুদ্ধ ও সুষম খাবার গ্রহণ করা যেমন, তাজা এবং অল্প রান্না করা সবজি ; মনে রাখতে হবে সবুজ পাতাযুক্ত সবজি, হলুদ কমলা লাল এবং বেগুনি রং এর ফল লিভারের জন্য জন্য বিশেষ উপকারী।

★ অধিক পরিমাণে পানি (দৈনিক ৬-১২ গ্লাস) পান করা প্রয়োজন, কেননা লিভারে খাদ্যের বিপাক ক্রিয়ার ফলে যে বিষাক্ত পদার্থ তৈরি হয় পানি তা কিডনির মাধ্যমে শরীর থেকে বের করে দিতে সাহায্য করে।

★ কোমল পানীয়, মিষ্টি, ফাস্ট ফুড, প্রসেসড ফুড, বাজে তেল ও অধিক শর্করাযুক্ত খাবার পরিহার করতে পারলেই ভালো।

★ প্রসেসড ফুড যেমন পাউরুটি, কেক, পেস্ট্রি, বিস্কুট, লজেন্স, সেরিয়ালস ইত্যাদি কম খাওয়া ভালো।

★ দৈনিক ২-৩ কাপের বেশি চা বা কফি খাওয়া উচিত নয়।

★ ধূমপান, মদ্যপান, খাবারের কৃত্রিম রং ও সুগন্ধিকারক, প্রিজারভেটিভ, অতিরিক্ত ঘুমের ওষুধ ও নেশাজাতীয় দ্রব্য সম্পূর্ণভাবে পরিত্যাজ্য।

★ মেয়াদোত্তীর্ণ বোতলজাত ও টিনজাত খাবার ও পানীয় বর্জন করা,

★ নিরাপদ যৌন চর্চায় অভ্যস্ত হওয়া,

★ ৪০ বছর বয়সের ঊর্ধ্বে সবাইকে আলট্রাসনোগ্রাফি (Ultrasonography) করে দেখে নিতে হবে – লিভার, গলব্লাডার, বাইল ডাক্ট ও প্যানক্রিয়াসে কোন উপসর্গবিহীন টিউমার বা চাকা আছে কি না।

ডাঃ এম সাঈদুল হক

সহকারী অধ্যাপক, লিভার বিভাগ,

ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল।

চীফ কনসালট্যান্ট, ঢাকা গ্যাস্ট্রো-লিভার সেন্টার।

০১৭০৩-৭২৮৬০১, ০১৭১০-০৩২১৫৮

০১৯২৭-০৬৮১৩৬, ০১৮৬৫-৫০৪০২৬

Subscribe To Our Newsletter

Get updates and learn from the best

More To Explore

আলসারেটিভ কোলাইটিস, কোলোরেকটাল ক্যান্সার, কোলোরেকটাল ক্যান্সার, কোলন ক্যান্সার
লিভার

আলসারেটিভ কোলাইটিস থেকে মরণব্যাধি কোলন ক্যান্সার

আলসারেটিভ কোলাইটিস থেকে হতে পারে মরণব্যাধি কোলন ক্যান্সার আলসারেটিভ কোলাইটিস যথাযথভাবে চিকিৎসা করা না হলে কোলোরেকটাল ক্যান্সার হয়ে প্রতি ৬ জনের একজন মৃত্যুবরণ করতে পারে।

হায়াটাস হার্নিয়া কি কঠিন কোন রোগ?
অন্যান্য

হায়াটাস হার্নিয়া কি কঠিন কোন রোগ?

হায়াটাস হার্নিয়া হলো যখন ডায়াফ্রাম বা মধ্যচ্ছদা’র মাংসপেশীর দুর্বলতার কারণে পাকস্থলীর অংশবিশেষ বুকের দিকে উঠে আসে। ফলশ্রুতিতে এসিড রিফ্লাক্স হয়ে বুক জ্বালাপোড়ার সমস্যা দেখা দেয়।