পোস্ট-কোলিসিস্টেকটমি সিন্ড্রোম

Share This Post

সঠিক ও যথাযথ রোগ নিরূপণ না করে গল ব্লাডার বা পিত্ত থলির অপারেশন করলে পরে প্রায় ৩০ শতাংশ ক্ষেত্রে এমনটি হতে পারে ; যখন দেখা যায়

১) কোন পরিস্থিতিতে রোগটি নির্ণীত হয়েছিল;

২) লক্ষ্মণ উপসর্গগুলো কি ছিলো ;

৩) পিত্ত থলি কেটে ফেলে দেওয়ার আসল উদ্দেশ্যটি কি ছিলো।

এধরণের পরিস্থিতিতে অপারেশন করে পিত্ত থলি কেটে ফেলে দেওয়ার পরে যে সমস্ত লক্ষ্মণ উপসর্গ দেখা দেয় তা হলো–

– পেটের উপরিভাগে ডান দিকে ব্যথা,

– পেট ফেপে থাকা,

– ফ্যাটি ফুড ইনটলারেন্স বা চর্বি জাতীয় খাবার খেতে অসহিষ্ণুতা,

– জন্ডিস দেখা দেওয়া,

– কোলেনজাইটিস বা পিত্ত নালীতে প্রদাহ দেখা দেওয়া,

– সাধারণত মহিলাদের ক্ষেত্রেই এমনতরো লক্ষ্মণ উপসর্গ বেশি দেখা দেয় যাঁরা অপারেশনের পূর্বে ৫ বছর বা ততোধিক কাল ব্যাপী ভুগছিলেন,

– পিত্ত থলিতে পাথরের অস্তিত্ব ছাড়াই অপারেশন করলে,

– বাইল এসিড ডায়রিয়া বা ঘন ঘন পায়খানার সমস্যা দেখা দেওয়া।

২-৫% শতাংশ ক্ষেত্রে মারাত্মক আকারে পোস্ট কোলিসিস্টেকটমি সিন্ড্রোম দেখা দিতে পারে।

অপারেশনের পরে নিম্নোক্ত কারণে লক্ষ্মণ উপসর্গসমূহ দেখা দেয় —

১) সার্জারির পরপরই

– অপারেশন স্থল হতে রক্তপাত হলে

– পিত্ত দিয়ে পুরো উদর গহ্বরে প্রদাহ হলে (বিলিয়ারি পেরিটোনাইটিস)

– পুঁজ জমে গেলে

– পিত্ত নালী আঘাতপ্রাপ্ত কিংবা কেটে গেলে

– ফিস্টুলা তৈরি হলে;

২) পুরো পিত্ত তন্ত্র আক্রান্ত হলে

– কমন পিত্ত নালীতে যদি পাথর থাকে

– পিত্ত নালী সরু হয়ে যায়

– পিত্ত নালীতে টিউমার দেখা দেয়

– ভ্যাটারের অ্যাম্পুলা যদি  অকার্যকর হয়;

৩) অন্যান্য

– ফাংশনাল ডিসপেপসিয়া বা মনো-দৈহিক কারণে পেটে অস্বস্তি লাগা

– পাকস্থলীর আলসার

– অগ্নাশয়ের রোগ (ক্রনিক প্যানক্রিয়েটাইটিস)

– জিইআরডি

– আইবিএস

– ফাংশনাল অ্যাবডোমিনাল পেইন বা মনো-দৈহিক কারণে পেটে ব্যথা,

– Amputation neuroma বা অপারেশনের পরও কেটে ফেলে দেওয়া অংশে ব্যথার অনুভূতি।

চিকিৎসা কিঃ

নিম্নোক্ত পরীক্ষা নিরীক্ষা করে কারণ অনুযায়ী চিকিৎসা প্রদান করা হয়–

১) LFT

– S. Bilirubin

– SGPT

– S. Alkaline Phosphatase

– CBC

২) USG of W/A

৩) EUS

৪) MRCP

৫) Endoscopy of UGIT

৬) Ba-follow through

৭) Pancreatic Function Test

– S. Amylase

– S. Lipase

সবশেষে ERCP করে চিকিৎসা করা লাগতে পারে।

ডাঃ এম সাঈদুল হক

সহকারী অধ্যাপক, লিভার বিভাগ,

ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল।

চীফ কনসালট্যান্ট, ঢাকা গ্যাস্ট্রো-লিভার সেন্টার।

০১৭০৩-৭২৮৬০১, ০১৭১০-০৩২১৫৮

০১৯২৭-০৬৮১৩৬, ০১৮৬৫-৫০৪০২৬

Subscribe To Our Newsletter

Get updates and learn from the best

More To Explore

আলসারেটিভ কোলাইটিস, কোলোরেকটাল ক্যান্সার, কোলোরেকটাল ক্যান্সার, কোলন ক্যান্সার
লিভার

আলসারেটিভ কোলাইটিস থেকে মরণব্যাধি কোলন ক্যান্সার

আলসারেটিভ কোলাইটিস থেকে হতে পারে মরণব্যাধি কোলন ক্যান্সার আলসারেটিভ কোলাইটিস যথাযথভাবে চিকিৎসা করা না হলে কোলোরেকটাল ক্যান্সার হয়ে প্রতি ৬ জনের একজন মৃত্যুবরণ করতে পারে।

হায়াটাস হার্নিয়া কি কঠিন কোন রোগ?
অন্যান্য

হায়াটাস হার্নিয়া কি কঠিন কোন রোগ?

হায়াটাস হার্নিয়া হলো যখন ডায়াফ্রাম বা মধ্যচ্ছদা’র মাংসপেশীর দুর্বলতার কারণে পাকস্থলীর অংশবিশেষ বুকের দিকে উঠে আসে। ফলশ্রুতিতে এসিড রিফ্লাক্স হয়ে বুক জ্বালাপোড়ার সমস্যা দেখা দেয়।