গ্যাস্ট্রিক আলসারের চিকিৎসাঃ
চিকিৎসার মূল লক্ষ্য তিনটি –
১) লক্ষ্মণ উপসর্গ দূর করা
২) আলসার শুকানো দ্রুততম করা
৩) এইচ. পাইলোরি ব্যাকটেরিয়ার পুনরাবৃত্তি রোধ করা।
আর এর মাধ্যমেই আলসারের পুনরাবির্ভাব প্রতিরোধ করা এবং দীর্ঘ মেয়াদি চিকিৎসার প্রয়োজনীয়তা লাঘব করা যায়।
সাধারণ কিছু স্বাস্থ্য বিধি মেনে চলা –
ধূমপান, মদ্যপান, অ্যাসপিরিন ও NSAIDs জাতীয় ব্যথানাশক ওষুধ পরিহার করা।
খাবার গ্রহণে তেমন বিশেষ কিছু বিধি নিষেধ নেই, শরীরের পক্ষে সহায়ক সকল প্রকার খাবারই পরিমাণ মতো খাওয়া যেতে পারে।
ওষুধের মাধ্যমে চিকিৎসাঃ
লক্ষ্মণ উপসর্গ কমানো ও ঘা বা আলসার শুকানোর জন্য –
(১) H2 blocker –
ফ্যামোটিডিন
(২) PPI –
ওমিপ্রাজল, প্যান্টোপ্রাজল, ইসোমিপ্রাজল, ল্যানসোপ্রাজল, ডেক্স-ল্যানসোপ্রাজল, র্যাবিপ্রাজল
(৩) অ্যান্টাসিড, সুক্রালফেট, বিসমাথ
(৪) এইচ. পাইলোরি নির্মূলকরণ চিকিৎসা
৭-১৪ দিনব্যাপী এই চিকিৎসা নিতে হয়।
৮০-৯০% সফলতা পাওয়া যায়।
সাধারণত একটি PPI এর সাথে দুটি শক্তিশালী অ্যান্টিবায়োটিক ব্যবহার করা হয় (অ্যামোক্সিসিলিন, ক্লারিথ্রোমাইসিন, মেট্রোনিডাজোল, লিভোফ্লক্সাসিন, টেট্রাসাইক্লিন), সাথে বিসমাথও থাকতে পারে।
মেইনটেনেন্স বা রক্ষণাবেক্ষণ মূলক চিকিৎসা –
এইচ. পাইলোরি নির্মূলকরণ চিকিৎসার পর নিরবচ্ছিন্ন মেইনটেনেন্স চিকিৎসার প্রয়োজন নেই।
স্বল্প সংখ্যক ক্ষেত্রে শুধু মাত্র রাতের বেলা স্বল্প মাত্রার PPI ব্যবহার করা যেতে পারে।
সার্জিক্যাল চিকিৎসাঃ
(১) তাৎক্ষণিক সার্জারি
★ আলসার ঘনীভূত হয়ে পাকস্থলী কিংবা ডিওডেনাম ফুটো হয়ে গেলে,
★ পাকস্থলি কিংবা ডিওডেনাম হতে রক্তপাত হলে।
(২) ঐচ্ছিক সার্জারি
★ Gastric outflow obstruction বা দীর্ঘ মেয়াদি আলসারের জটিলতা জনিত পাকস্থলীর বহির্মুখ সরু বা বন্ধ হয়ে গেলে;
★ পর্যাপ্ত পরিমাণে ওষুধের মাধ্যমে চিকিৎসার পরও স্থায়ী আলসার থাকলে;
★ অপারেশনের পরও যদি পাকস্থলী কিংবা ডিওডেনামে পৌনঃপুনিক আলসার হয়।
ডাঃ এম সাঈদুল হক
সহকারী অধ্যাপক, লিভার বিভাগ,
ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল।
চীফ কনসালট্যান্ট, ঢাকা গ্যাস্ট্রো-লিভার সেন্টার।
০১৭০৩-৭২৮৬০১, ০১৭১০-০৩২১৫৮
০১৯২৭-০৬৮১৩৬, ০১৮৬৫-৫০৪০২৬