ওজন আধিক্যের ফলে যেসব রোগ স্বাস্থ্য ঝুঁকি হিসেবে বিবেচনা করা হচ্ছে

Share This Post

বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার গবেষণা অনুযায়ী, বিশ্বব্যাপী ১৯৭৫ সাল থেকে মানব দেহের ওজনাধিক্য বা স্থুলতা বেড়েছে তিন গুণেরও বেশি।

দেহের বাড়তি ওজনের কারণে যেসব রোগ স্বাস্থ্য ঝুঁকি হিসেবে বিবেচনা করা হচ্ছে –

ফ্যাটি লিভার ও লিভার ক্যান্সার,

হৃদরোগ বা হার্ট অ্যাটাক,

মস্তিষ্কের স্ট্রোক,

ডায়াবেটিস,

উচ্চ রক্তচাপ,

ডিসলিপিডেমিয়া বা রক্তে চর্বির আধিক্য,

অস্টিওআর্থ্রাইটিস (হাঁটু ও কোমড় ব্যথা),

শ্বাসকষ্ট,

অবস্ট্রাকটিভ স্লিপ অ্যাপনিয়া বা ঘুমের মধ্যে দম বন্ধ হয়ে যাওয়া,

GERD ও গ্যাস্ট্রিক আলসার,

বিষন্নতা।

দেহের ওজনাধিক্য প্রতিরোধে করণীয়ঃ

★ প্রত্যহ নিয়মিত শারীরিক ব্যায়াম করতে হবে,

★ অতিরিক্ত শর্করা জাতীয় খাবার (ভাত, রুটি), চিনিযুক্ত খাবার ও কোমল পানীয় পরিহার করতে হবে।

★ ফাস্ট ফুড, জাঙ্ক ফুড ও বাজে তেলে তৈরি খাবার এড়িয়ে যাওয়া,

★ প্রচুর পরিমাণ সবুজ শাক সবজি ও আঁশযুক্ত তাজা ফল খেতে হবে,

★ দীর্ঘ সময় ধরে বসে বা শুয়ে থাকার অভ্যাস পরিহার করতে হবে।

ডাঃ এম সাঈদুল হক

সহকারী অধ্যাপক, লিভার বিভাগ,

ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল।

চীফ কনসালট্যান্ট, ঢাকা গ্যাস্ট্রো-লিভার সেন্টার।

০১৭০৩-৭২৮৬০১, ০১৭১০-০৩২১৫৮

০১৯২৭-০৬৮১৩৬, ০১৮৬৫-৫০৪০২৬

Subscribe To Our Newsletter

Get updates and learn from the best

More To Explore

আলসারেটিভ কোলাইটিস, কোলোরেকটাল ক্যান্সার, কোলোরেকটাল ক্যান্সার, কোলন ক্যান্সার
লিভার

আলসারেটিভ কোলাইটিস থেকে মরণব্যাধি কোলন ক্যান্সার

আলসারেটিভ কোলাইটিস থেকে হতে পারে মরণব্যাধি কোলন ক্যান্সার আলসারেটিভ কোলাইটিস যথাযথভাবে চিকিৎসা করা না হলে কোলোরেকটাল ক্যান্সার হয়ে প্রতি ৬ জনের একজন মৃত্যুবরণ করতে পারে।

হায়াটাস হার্নিয়া কি কঠিন কোন রোগ?
অন্যান্য

হায়াটাস হার্নিয়া কি কঠিন কোন রোগ?

হায়াটাস হার্নিয়া হলো যখন ডায়াফ্রাম বা মধ্যচ্ছদা’র মাংসপেশীর দুর্বলতার কারণে পাকস্থলীর অংশবিশেষ বুকের দিকে উঠে আসে। ফলশ্রুতিতে এসিড রিফ্লাক্স হয়ে বুক জ্বালাপোড়ার সমস্যা দেখা দেয়।