আইবিএস থেকে পরিত্রাণের উপায়

Share This Post

১) মানসিক উদ্বেগ অস্থিরতা ও দুশ্চিন্তা পরিহার করে হাসি খুশি ও উৎফুল্ল জীবন যাপন করা;

এর জন্য প্রয়োজন আত্মার প্রশান্তি, আর এটা অর্জনের উপায় ৩ টি

ক. ধর্মীয় কাজে মনোনিবেশ করাঃ

(হিন্দু, বৌদ্ধ, খ্রিস্টান যার যার নিজস্ব ধর্ম অনুযায়ী) পাঁচ ওয়াক্ত নামাজ মসজিদে যেয়ে জামাতে কিংবা আজানের সাথে সাথে আদায় করার অভ্যাস তৈরি করা,

সহি উচ্চারণে কোরআন তিলাওয়াতের চর্চা করা, পুরো কোরআন পড়া, বাংলা অনুবাদ পড়ে বুঝার চেষ্টা করা, গুরুত্বপূর্ণ অংশগুলো মনে রাখা।হাদিস পাঠ, হাদিসের ব্যাখ্যাগুলো পড়ে গুরুত্বপূর্ণ অংশগুলো মনে রাখা।সাহাবিদের জীবনী পাঠ এবং ইসলামি জীবন যাপনের বিস্তারিত উপায়গুলো জানা। ইসলামের ইতিহাস জানা।

রোজা – সপ্তাহে ২ দিন রোজা রাখার অভ্যাস তৈরি করা এতে আত্মার প্রশান্তির সাথে শরীরেরও বিশুদ্ধতা লাভ হয়।

আইবিএস এর সফল চিকিৎসা

খ. সৃজনশীল কাজে মনোনিবেশ করাঃ

যে কোন সৃষ্টির আনন্দই কিন্তু আত্মার প্রশান্তি আনে, তাই… যে কোন পেশায় নতুন কিছু উদ্ভাবন করা, বাগান করা, ছবি আঁকা, গান করা, নাচ করা, কবিতা গল্প উপন্যাস জীবনী লেখা ইত্যাদি।

গ. পরহিতব্রতে কাজ করাঃ

“আপনারে লয়ে কাঁদিয়া মরিতে আসে নাই কেহ অবনী পরে ;সকলের তরে সকলে আমরা প্রত্যেকে মোরা পরের তরে”…. এই মনোবাঞ্ছনা নিয়ে আমরা মানুষের পাশে দাঁড়াতে পারি।সেক্ষেত্রে দরিদ্র, শারীরিক, বাক, বুদ্ধি, দৃষ্টি প্রতিবন্ধীদের সহায়তা করতে পারি।অন্যের শিশুর পরিচর্যা ও লেখা পড়ায় সহায়তা করতে পারি।অসুস্থ আত্মীয় পরিজন, পাড়া প্রতিবেশীর চিকিৎসা কাজে সহায়তা করা;হাসপাতালে ভর্তি রোগীর খাবার, ওষুধ পথ্য ও চিকিৎসা কাজে সহায়তা করা। মানুষকে সদুপদেশ দেওয়া ও সঠিক পথ দেখানোও কিন্তু উত্তম কাজ।

২) পরিমিত বিশুদ্ধ ও সুষম খাবার গ্রহণঃ

সকল প্রকার পুষ্টিকর খাবার খেতে হবে যাতে শরীরের গঠন, ক্ষয়পূরণ, বৃদ্ধি ও চালিকাশক্তি অক্ষুন্ন থাকে।শরীরের সাথে মানানসই খাবারই গ্রহণ করবো,যেসব খাবার শরীরের সাথে একেবারেই যায় না শুধুমাত্র সেই সব খাবার গ্রহণ থেকে কিছু সময়র জন্য বিরত থাকবো।

যেমন – এক প্রকার শাক খেয়ে সমস্যা হলে সেটা বাদ দিয়ে অন্য প্রকার শাক খাবো (সব শাকেই সমস্যা হয় না) আর অবশ্যই যে কোন খাবার গ্রহণ করতে বেশ সময় নিয়ে ধীরে ধীরে ভালো ভাবে চিবিয়ে চূর্ণবিচূর্ণ করে তারপর খাবার গলাধঃকরণ করবো… এতে আস্ত শাক বা আস্ত খাবার মলের সাথে বেরিয়ে আসবে না।

দুধ খেয়ে সমস্যা হলে দুধের যে উপজাত রয়েছে সেগুলো খাবো – টক দই, পনির, ঘি, মাখন, লাবান, লাচ্ছি, ঘোল, মাঠা ইত্যাদি। এতে দেহের পুষ্টি অক্ষুন্ন থাকবে, স্বাস্থ্য অটুট থাকবে, শরীর শুকিয়ে যাবে না।

৩) পর্যাপ্ত ঘুমঃ

সঠিক সময়ে (রাত ৯ঃ৩০ হতে ভোর ৫ঃ৩০ পর্যন্ত) অন্তত ৭-৮ ঘন্টা নিরবচ্ছিন্ন ঘুমাতে হবে। অনিদ্রা, অধিক রাত জাগা, দিনের বেলায় ঘুমানো পরিহার করতে হবে।

৪) ব্যায়ামঃ

প্রতিদিন নিয়ম করে ১ ঘন্টা শারীরিক ব্যায়াম করতে হবে। (আপাতত স্কুলের শিশুরা পিটিতে যে ব্যায়াম করে সেগুলো করলেই চলবে)

৫) ওষুধঃ

আইবিএসের সুনির্দিষ্ট কোন ওষুধ নেই, তাই একজন দক্ষ ও অভিজ্ঞ গ্যাস্ট্রো-লিভার বিশেষজ্ঞের পরামর্শক্রমে কিছু সময়ের জন্য কিছু ওষুধ গ্রহণ করা যেতে পারে।

ডাঃ এম সাঈদুল হক

সহকারী অধ্যাপক, লিভার বিভাগ,

ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল।

চীফ কনসালট্যান্ট, ঢাকা গ্যাস্ট্রো-লিভার সেন্টার।

০১৭০৩-৭২৮৬০১, ০১৭১০-০৩২১৫৮

০১৯২৭-০৬৮১৩৬, ০১৮৬৫-৫০৪০২৬

Subscribe To Our Newsletter

Get updates and learn from the best

More To Explore

আলসারেটিভ কোলাইটিস, কোলোরেকটাল ক্যান্সার, কোলোরেকটাল ক্যান্সার, কোলন ক্যান্সার
লিভার

আলসারেটিভ কোলাইটিস থেকে মরণব্যাধি কোলন ক্যান্সার

আলসারেটিভ কোলাইটিস থেকে হতে পারে মরণব্যাধি কোলন ক্যান্সার আলসারেটিভ কোলাইটিস যথাযথভাবে চিকিৎসা করা না হলে কোলোরেকটাল ক্যান্সার হয়ে প্রতি ৬ জনের একজন মৃত্যুবরণ করতে পারে।

হায়াটাস হার্নিয়া কি কঠিন কোন রোগ?
অন্যান্য

হায়াটাস হার্নিয়া কি কঠিন কোন রোগ?

হায়াটাস হার্নিয়া হলো যখন ডায়াফ্রাম বা মধ্যচ্ছদা’র মাংসপেশীর দুর্বলতার কারণে পাকস্থলীর অংশবিশেষ বুকের দিকে উঠে আসে। ফলশ্রুতিতে এসিড রিফ্লাক্স হয়ে বুক জ্বালাপোড়ার সমস্যা দেখা দেয়।