আইবিএস এর কারণে নিম্নোক্ত রোগ বা জটিলতা হতে পারে:
(১) পায়খানা কষা হয়ে হিমোরয়েড বা পাইলস (যা থেকে পায়ুপথে রক্তপাত হতে পারে)
(২) দীর্ঘ মেয়াদে পায়খানা কষার কারণে পায়খানা আটকে যেয়ে ফিকাল ইমপ্যাকশন হতে পারে ;
(৩) ফুড ইনটলারেন্স বা খাদ্যে অতি সংবেদনশীলতা (কিছু খাবার যেমন আটা ময়দার তৈরি খাবার, দুধ, ডিম, কফি, আলু, তৈলাক্ত ও শর্করা জাতীয় খাবার)
(৪) পায়খানা কষা নিবারণের জন্য ল্যাকজেটিভ বা জোলাপের অতি ব্যবহার (ফলশ্রুতিতে ডায়রিয়ার কারণ হতে পারে)
(৫) বুক জ্বালাপোড়া করা বা GERD
(৬) পেটে গ্যাস
(৭) বদ হজম
(৮) আন্ত্রিক ব্যাকটেরিয়ার অতি উত্থান বা SIBO (ফলে ডায়রিয়া দেখা দিতে পারে)
(৯) শরীরের ওজন হ্রাস পাওয়া (খাওয়ায় অরুচি, খাবার খেতে ভীতি কিংবা অনীহার কারণে)
(১০) অপুষ্টির শিকার হওয়া (শরীরে বিভিন্ন ভিটামিন ও মিনারেল এর ঘাটতি দেখা দেওয়া — খাওয়ায় অরুচি, খাবার খেতে ভীতি কিংবা অনীহার কারণে)
(১১) মানসিক উদ্বেগ, অস্থিরতা ও দুশ্চিন্তা
(১২) অনিদ্রা, অধিক রাত জাগা
(১৩) খিটখিটে মেজাজ ও মেজাজ বিগড়ে যাওয়া
(১৪) অল্পতেই ক্ষেপে যাওয়া
(১৫) দাম্পত্য কলহ
(১৬) চাকরিতে অতৃপ্তি
(১৭) মানুষের সাথে সম্পর্ক নষ্ট
(১৮) বন্ধুত্ব নষ্ট
(১৯) শরীরিক দুর্বলতা, আলস্য, কাজে অনীহা
(২০) ডিপ্রেশন বা মানসিক অবসাদ দেখা দেওয়া।
ডাঃ এম সাঈদুল হক
সহকারী অধ্যাপক, লিভার বিভাগ
ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল।
চীফ কনসালট্যান্ট, ঢাকা গ্যাস্ট্রো-লিভার সেন্টার।
০১৭০৩-৭২৮৬০১, ০১৭১০-০৩২১৫৮০১৯২৭-০৬৮১৩৬, ০১৮৬৫-৫০৪০২৬