আলসারেটিভ কোলাইটিস থেকে হতে পারে মরণব্যাধি কোলন ক্যান্সার
আলসারেটিভ কোলাইটিস যথাযথভাবে চিকিৎসা করা না হলে কোলোরেকটাল ক্যান্সার হয়ে প্রতি ৬ জনের একজন মৃত্যুবরণ করতে পারে।
কোলোনের অনিয়ন্ত্রিত প্রদাহের দীর্ঘসূত্রিতা এবং রোগের বিস্তৃতির কারণে ডিসপ্লাসিয়া এবং ক্যান্সারের ঝুঁকি বেড়ে যায়। এভাবে যারা দীর্ঘমেয়াদী এবং বিস্তৃত কোলোরেকটাল ক্যান্সার রোগে আক্রান্ত তাদের ক্ষেত্রে ঝুঁকি অনেক বেশি।
সামগ্রিকভাবে রোগ নির্ণয়ের দশ বছরে ১ শতাংশ হারে এবং ৩০ বছর পরে ৭ শতাংশ হারে ক্যান্সারের ঝুঁকি বাড়তে থাকে।
অজানা কোন এক কারণে দেখা গেছে, যাদের এই রোগের সাথে প্রাইমারি স্ক্লেরোজিং কোলেনজাইটিস রয়েছে তাদের কোলন ক্যান্সারের ঝুঁকি আরও বেশি।
আলসারের যে স্থানে ডিসপ্লাসিয়া হয় সেখানেই টিউমার তৈরি হয় এবং সাধারণত একাধিক টিউমার দেখা দেয়।
তাই যারা দীর্ঘমেয়াদি আলসারেটিভ কোলাইটিসে আক্রান্ত তারা রোগ নির্ণয়ের ৮ বছরের মাথায় সারভাইল্যান্স প্রোগ্রামের অন্তর্ভুক্ত হবেন এবং যাদের প্রাইমারি স্ক্লেরোজিং কোলেন্জাইটিস রয়েছে তারা প্রতিবছর একবার করে কোলোনোস্কোপি করাবেন।
এ ধরনের রোগীদের ক্ষেত্রে কোলোনোস্কোপি করার সময় র্যানডোম বায়োপসি করা হয় অর্থাৎ প্রতি ১০ সেন্টিমিটার অন্তর অন্তর বায়োপসি সংগ্রহ করে ক্যান্সার নির্ণয় করা হয়।
এক্ষেত্রে কোলোন ক্যান্সারের পারিবারিক ইতিহাস রয়েছে কিনা তাও জেনে নেয়া হয়।
যদি রিপোর্টে হাইগ্রেড ডিসপ্লাসিয়া পাওয়া যায় তাহলে প্যানপ্রোক্টোকোলেকটমি করে নিতে হয় অর্থাৎ মলদার থেকে শুরু করে পুরো মলাশয় এবং পুরো কোলন কেটে ফেলে দিতে হয়।
ডাঃ এম সাঈদুল হক
সহকারী অধ্যাপক, লিভার বিভাগ,
ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল।
চীফ কনসালট্যান্ট, ঢাকা গ্যাস্ট্রো-লিভার সেন্টার।
০১৭০৩-৭২৮৬০১, ০১৭১০-০৩২১৫৮